এসএসসি পরীক্ষায় কৃতকার্যদের অভিনন্দন জানানোর পাশাপাশি যারা এ বছর পরীক্ষা দিয়েও পাস করতে পারেনি তাদেরকে মন খারাপ না করার পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ রবিবার (১২ই মে) গণভবনে এ বছরের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দেবার পরে তিনি এ কথা বলেন।

পরীক্ষায় অকৃতকার্যরা আগামীতে মনোযোগ দিয়ে পড়াশোনা করে পাস করবে – সে আস্থা রাখার পরামর্শ দেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি ফেল করা শিক্ষার্থীদের বাবা-মাদেরকে বলেন যেন তারা অকৃতকার্য ছেলেমেয়েদের ওপর রুষ্ঠ না হয়।

এ সময় তারঁ সরকারের আমলে দেশের শিক্ষা খাতের অর্জন তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, গত পনেরো বছরে যেমন স্বাক্ষরতার হার বেড়েছে, মেয়েদের শিক্ষার হার বেড়েছে, কারিগরি শিক্ষা আরো বেড়েছে।

তিনি বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্যটা হচ্ছে শুধু মুখস্ত বিদ্যা দিয়ে শিশুরা শিখবে না, শিশুর যে মেধা ও মনন থাকে সেটাকে বিকশিত হওয়ার সুযোগ করে দেয়া।’

প্রধানমন্ত্রী জানান, জীবনমুখী শিক্ষা নিশ্চিত করতে সরকার কারিগরি শিক্ষার ওপর জোর দেয়। কারিগরি শিক্ষা এখন মোট শিক্ষার ২২ ভাগ থাকলেও ২০৪১ সালের মধ্যে তা ৪১ ভাগ করার লক্ষ্য আছে সরকারের।

এর আগে, সকাল ১০টার পর প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যানরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে ফলের সারসংক্ষেপ হস্তান্তর করেন। পরে সম্মিলিত ফলের সারসংক্ষেপ তুলে ধরেন শিক্ষামন্ত্রী ব্যারিস্টার মুহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।

দুপুরের পর থেকে পরীক্ষার্থীরা ফলাফল জানতে পারবেন। গণভবনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী শামসুন্নাহার চাঁপা।

এবার মোট ১১টি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ২০ লাখ ২৪ হাজার ১৯২ জন পরীক্ষার্থী এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন। এর মধ্যে ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে পরীক্ষার্থী ছিলেন ১৬ লাখ ৬ হাজার ৮৭৯ জন।

মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে দাখিল পরীক্ষা দিয়েছেন মোট ২ লাখ ৪২ হাজার ৩১৪ জন। কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এসএসসি (ভোকেশনাল) ও দাখিল (ভোকেশনাল) পরীক্ষায় অংশ নেন ১ লাখ ২৬ হাজার ৩৭৩ জন।